আফগানিস্তান ভূমিকম্প : নিহতের সংখ্যা এখন হাজারের বেশি , আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য আবেদন করেছে তালেবান সরকার। 


আফগানিস্তান ভূমিকম্প : নিহতের সংখ্যা এখন হাজারের বেশি








আফগানিস্তানে ছয় দশমিক এক মাত্রায় ভূমিকম্প এ লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়ায়র পর তালেবান এখন আন্তর্জাতিক সহায়ত চেয়েছে। 


দেশটিতে ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত এক হাজারের বেশি নিহত এবং অন্তত দেড় হাজার মানুষ আহত হয়েছে। অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে মাটির তৈরি ঘরে চাপা পরে , যাদের এখনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। 



দক্ষিণ পূর্বের পাকতিকা প্রদেশের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর জাতিসংঘ জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা এবং আশ্রয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে। এদিকে , ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উদ্ধারকাজে ব্যাবহারিত সরঞ্জাম সহ অনন্যা জিনিসের অভাবে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। 


আফগানিস্তান ভূমিকম্প : নিহতের সংখ্যা এখন হাজারের বেশি






আরো পড়ুন :





যারা বেঁচে গেছেন এবং যারা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন , তারা বলেছেন , ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল কাছের গ্রামগুলো একবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। রাস্তায় মোবাইল ফোনের টাওয়ার ভেঙ্গে পড়েছে। 





তারা আশঙ্কা করছেন , মৃত্যের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। দুই দশকের মধ্যে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি সামাল দেয়া তালেবানের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 






ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল :


এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় খোস্ত শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরের একটি স্থান। 


স্থানীয় সময় রাত দেড়টায় এই ভূমিকম্প আঘাত হানে , যখন বেশির ভাগ মানুষ ঘুমিয়ে ছিল। 





আফগানিস্তান ভূমিকম্প : নিহতের সংখ্যা এখন হাজারের বেশি





মানবিক এবং আর্থিক সংকট :



আফগানিস্তান এখন আর্থিক এবং মানবিক সংকটের মধ্যে রয়েছে।  

তালেবানের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা আব্দুল কাহার বালখি বলেছেন " এখন মানুষকে যেভাবে সাহায্য করা দরকার , তালেবান সরকারের এখন আর্থিক দিক থেকে সেভাবে সাহায্য করার সামর্থ নাই। " 


সাহায্য সংস্থা , পার্শবর্তী দেশ এবং বিশ্বের শক্তিধর দেশ গুলো সাহায্য করেছে। 


কিন্তু তিনি বলেছেন , " এই সহযোগিতা বড় আকারে দ্রুত করতে হবে , কারণ এই ভূমিকম্প ভয়ঙ্কর , যেটা কয়েক দশক পর হয়েছে। " 




জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুটেরেস বলেছেন , আফগানিস্তানে দুর্যোগ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো পুরো শক্তি নিয়ে কাজ করছে। 


তিনি আরো উল্লেখ করেন , " স্বাস্থ্য বিষয়ক দল , চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবারহ , খাদ্য এবং জরুরি আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছে , এসব কর্মকান্ড চলছে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে। 




বেশির ভাগ হতাহত হয়েছে পাকতিকা প্রদেশে গেয়ান এবং বারমাল জেলায়। 





আরো পড়ুন :



















Post a Comment