মুহাম্মদ আলী জওহর : খিলাফত আন্দোলনের মূল নেতৃবৃন্দের অন্যতম
মাওলানা মুহাম্মদ আলি জওহর ছিলেন একজন ভারতীয় মুসলিম নেতা, আন্দোলনকারী, পণ্ডিত, সাংবাদিক ও কবি। তিনি খিলাফত আন্দোলনের মূল নেতৃবৃন্দের অন্যতম ছিলেন।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মুসলিম প্রেসিডেন্টদের মধ্যে তিনি ষষ্ঠতম। তিনি কয়েকমাস এ পদে ছিলেন। তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট।
প্রথম জীবন
মুহাম্মদ আলি ১৮৭৮ সালে ভারতের রামপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মাওলানা শওকত আলি ও জুলফিকার আলির ভাই। পিতার অকালমৃত্যুর পর তিনি দারুল উলুম দেওবন্দ, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ও ১৮৯৮ সালে অক্সফোর্ডের লিঙ্কন কলেজে আধুনিক ইতিহাস অধ্যয়ন করেন।
ভারত ফিরে মুহাম্মদ আলী রামপুর রাজ্যের শিক্ষা নির্দেশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি বড়োদরা সিভিল সার্ভিস যোগ দেন। তিনি একজন লেখক ও বক্তা হয়ে উঠেন।
ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় প্রধান ইংরেজি ও ভারতীয় সংবাদপত্রে তিনি অবদান রাখেন। ১৯১১ সালে তিনি উর্দুতে হামদর্দ ও ইংরেজিতে দ্য কমরেড নামক সাপ্তাহিক চালু করেন। ১৯১৩ মুহাম্মদ আলি দিল্লী ফিরে আসেন।
আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রসারণের জন্য মুহাম্মদ আলী কাজ করেছেন। এসময় তার নাম ছিল মোহামেডান এংলো-ওরিয়েন্টাল কলেজ। তিনি ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার একজন সহপ্রতিষ্ঠাতা। এটি পরে দিল্লীতে স্থানান্তর।
খিলাফত ও রাজনৈতিক আন্দোলন
১৯০৬ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠা বৈঠকে মুহাম্মদ আলি অংশগ্রহণ করেন। ১৯১৮ সালে তিনি এই দলের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বপালন করেন। ১৯২৮ সাল পর্যন্ত তিনি লীগে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
১৯১৯ সালে ইংল্যান্ডে মুসলিম প্রতিনিধিদলে তিনি প্রতিনিধিত্ব করেন। এ দলের উদ্দেশ্য ছিল তুরস্কের সুলতান ও মুসলিমদের খলিফাকে যাতে মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক ক্ষমতাচ্যুত না করেন সে বিষয়ে প্রভাবিত করার জন্য ব্রিটিশ সরকারকে রাজি করানো। ব্রিটিশরা তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। ফলে খিলাফত কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটি ভারতের মুসলিমদের সরকারের প্রতিবাদ ও বয়কটে নেতৃত্ব দেয়।
এসময় মাওলানা মুহাম্মদ আলি ১৯২১ সালে মুসলিম জাতীয়তাবাদিদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করেন এতে ছিলেন মাওলানা শওকত আলি, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, হাকিম আজমল খান, মুখতার আহমেদ আনসারি। এছাড়া মহাত্মা গান্ধীও এতে ছিলেন।
গান্ধী মুসলিমদের সাথে ঐক্যের নিদর্শন হিসেবে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও হাজার হাজার হিন্দুর সমর্থন অর্জন করেন। একইসাথে মুহাম্মদ আলি গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনে সমর্থন দেন এবং ভারতজুড়ে কয়েকশত প্রতিবাদে উৎসাহ দেন। ব্রিটিশ সরকার তাকে গ্রেপ্তার করে। খিলাফত সম্মেলনের সময় রাজদ্রোহী বক্তৃতার দায়ে তিনি দুইবছরের জন্য কারারুদ্ধ হন।
১৯২৩ সালে মাওলানা মুহাম্মদ আলি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
কংগ্রেস থেকে বিচ্ছিন্ন
খিলাফত আন্দোলনের ব্যর্থতা ও চৌরি-চৌরা ঘটনার পর মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ প্রত্যাহার করে নেয়ার ফলে মুহাম্মদ আলি মনঃক্ষুণ্ণ ছিলেন। তিনি তার সাপ্তাহিক হামদর্দ পুনরায় চালু করেন এবং কংগ্রেস ত্যাগ করেন। তিনি নেহেরু রিপোর্টের বিরোধিতা করে। এতে সাংবিধানিক সংস্কার এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে স্বাধীন জাতি হিসেবে ডমিনিয়ন স্ট্যাটাসের প্রস্তাব করা হয়।
মোতিলাল নেহরুর নেতৃত্বে কংগ্রেসের হিন্দু ও মুসলিম সদস্যদের একটি কমিটি এই রিপোর্ট লেখে। সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে এটি একটি প্রধান প্রতিবাদ ছিল। কমিশন সংস্কার প্রস্তাবের জন্য ভারতে আসে কিন্তু তাতে ভারতের দাবির প্রতি কর্ণপাত করা হয়নি। এসময় মুহাম্মদ আলি কারাগারে ছিলেন।
তাই সর্বদলীয় সম্মেলনে নেহেরু রিপোর্ট শওকত আলি, বেগম মুহাম্মদ আলি ও কেন্দ্রীয় খিলাফত কমিটির ৩০ জন অন্যান্য সদস্য কর্তৃক নেহরু রিপোর্ট উত্থাপিত হয়। অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন আবদুল মজিদ দরিয়াবাদি, আজাদ সোবহানি, মাগফুর আহমেদ আজাজি, আবুল মহসিন মুহাম্মদ সাজ্জাদ ও অন্যান্যরা।
মুহাম্মদ আলি নেহেরু রিপোর্টের মুসলিমদের পৃথক নির্বাচনের বিরোধিতা করেন এবং মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ ও লীগের ১৪ দফার প্রতি সমর্থন জানান। অন্যান্য মুসলিম নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, হাকিম আজমল খান ও মুখতার আহমেদ আনসারির বিপরীতে গিয়ে তিনি গান্ধীর সমালোচনা করেন। তারা গান্ধী ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে সমর্থন করতেন।
তৃতীয় আগা খানকে চেয়ারম্যান করে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে মাওলানা মুহাম্মদ আলি অংশগ্রহণ করেন। ১৯২১ সালে ব্রিটিশ সরকার করাচির খালিকদিনা হলে আদালত স্থাপন করে। এতে তাকে আড়াই বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়।
১৯৩১ সালের ৩ জানুয়ারি মুহাম্মদ আলি মৃত্যুবরণ করেন। তার ইচ্ছানুযায়ী তাকে জেরুজালেমে দাফন করা হয়। কুব্বাত আস সাখরার কাছে তার কবরে উৎকীর্ণ রয়েছে, “এখানে শায়িত আছে সাইয়িদ মুহাম্মদ আলি আল হিন্দি”।
নামকরণ
বেয়াহ কিছু স্থানের নাম মওলানা মুহাম্মদ আলীর নাম করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে,
০১. মাওলানা মুহাম্মদ আলি (এমএমএ) হোস্টেল, মহসিনুল মুলক হল, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, আলিগড়, ভারত
In July 1986 a twenty-year-old Zdenek (Daniel) Pohl and his friend, thirty-five-year-old Marcus, came up with, and executed what many believe to be the most creative and daring escape in the world. They did the unthinkable. You surely can call this escape to the West: “Extreme Zip Lining!” During high wind, and severe rainstorm, they zip lined on 380 000V power line out of a nuclear power plant from Czech Republic, formally known as (Communist) Czechoslovakia, over the Iron Curtain, into Austria. While back home in Czech, perplexed authorities demonized them, in Western block countries their story exploded upon a public like an atomic bomb and became instant media sensation.
If you a visitor of MWLBD , Then click the download button
Post a Comment