সিরাজ উদ দৌলা - ফোর্ট উইলিয়াম জাহাজ । পর্ব ০১

                                              অধ্যায়ঃ ২

Fort Willem Ship




সিরাজ উদ দৌলা পর্ব ০১ | অধ্যায়ঃ ০১



                    সময় : ১৭৫৬সাল , ৩রা জুলাই 

স্থান : কলকাতার ভাগীরথী নদীতে ফোর্ট উইলিয়ম। 



( কলকাতা থেকে তারা খেয়ে ডেক , কিলপ্যাট্রিক এবং তাদের দলবল এই জাহাজে আশ্রয় নিয়েছে। সকলের চরম দুরবস্থা আহার্য দ্রব প্রায়ই পাওয়া যায়না। অত্যন্ত গোপনে যৎসামান্য চোরাচালান আসে। পরিধেয় বস্ত্র নেই বললে চলে। সকলেরই এক কাপড় সম্বল। এর ভেতরে ও পরামর্শ চলছে কি করে উদ্ধার পাওয়া যায়। জাহাজ থেকে এক দিকে দেখা যাচ্ছে গভীর জঙ্গলে আকীর্ণ। জাহাজের মধ্যে পরামর্শ রত ডেক , কিলপ্যাট্রিক এবং  দুই  তরুণ ইংরেজ। )

সিরাজ উদ দৌলা - ফোর্ট উইলিয়াম জাহাজ । পর্ব ০১ | অধ্যায়ঃ ২ | Siraj-ud-Daulah - Fort William ship. Episode 01 Chapter 2






ডেক : এই তো কিলপ্যাট্রিক ফিরে এসেছে মাদ্রাজ থেকে। ওর কাছেই শোনা যাক প্রয়োজনীয় সাহায্যের ব্যাপারে -

হ্যারি : এসে পড়লো বলে , এই তো বলতে  চাইসেন ? কিন্তু সে সাহায্য এসে পৌসাবার আগেই আমাদের দফা শেষ হয়ে যাবে মিঃ ডেক। 

মার্টিন : কিলপ্যাট্রিক সাহেবের সুখবর নিয়ে আসাটা আপাততঃ আমাদের কাছেই মোটেও সুখবর না। তিনি মাত্র আড়াইশো সৈন্য নিয়ে হাজির হয়েছেন। এই ভরসায় একটা ডানগাওঁ করা যাবে না। যুদ্ধ করে কলকাতা জয় তো দূরের কথা। 

ডেক : তবুও তো লোকবল কিসুটা বাড়লো। 

হ্যারি : লোকবল বাড়ুক আর না বাড়ুক আমাদের অংশীদার বাড়লো। 

ডেক : আহার্য কোনো রকম জোগাড় হবেই। 

মার্টিন : কি করে হবে তাই বলুন মিঃ ডেক।  আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ টাই জানতে চাইছি। এ পর্যন্ত দুই বেলা আহারের বন্দোবস্ত হয়েছে ? ধরে কাছে হাট বাজার নেই। নবাবের হুকুমে প্রকাশ্যে কেউ আমাদের কাছে কোনো পণ্য ও ব্যাচে না। চার গুন্ দাম দিয়ে গোপনে জিনিস পত্র কিনতে হয়। এই অবস্থা কত দিন চলবে তা আমাদের জানা দরকার। 

কিলপ্যাট্রিক : এত অল্পে অধৈর্য হলে চলেবে কেনো ?

হ্যারি : ধৈর্য ধরবো আমরা কিসের আসায় সেটাও তো জানতে হবে। 

ডেক: যা হয়েছে তা নিয়ে বিবাদ করে লাভ নাই। দোষ কারোর একার না।  যদি  কারও দোষই  আমাদের দুর্গতির কারণ হয়ে থাকে। 

মার্টিন : যারা এ পর্যন্ত হুকুম দেবার মালিক তাদের দোষেই আজ আমরা কলকাতা থেকে বিতাড়িত। বিশেষে করে আপনার হঠকারিতার জন্য আজ আমরা এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। 

ডেক : আমার হট্টকারিতা ? 

মার্টিন : তা নয়তো কি  ? ওমন উদ্যত ভাষায় নবাবকে চিঠি দেয়ার দরকার  ছিল কি প্রয়োজন ছিল ? তা ছাড়া নবাবের আদেশ অমান্য করে কৃষ্ণবল্লব কে আশ্রয় দেয়ার কি প্রয়োজন ছিল ? 

ডেক : সব ব্যাপারে সবার মাথা গোলানো সাজে না। 

হ্যারি : তা তো বটেই। কৃষ্ণবল্লভের কাছ থেকে কি পরিমান টাকা উৎকোচ নেবেন মিঃ ডেক, এটা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাবো না কোনো ? কিন্তু এটা বলতে আমাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই যে ঘুষের অংক অনেক বড় হওয়া সত্ত্বেও কৃষ্ণবল্লবকে ত্যাগ করতে পারেননি মিঃ ডেক। 


ডেক : আমার রিপোর্ট আমি কাউন্সিলরের কাছে দাখিল করেছি। 


মার্টিন : রিপোর্টার কথা রেখে  দিন , তাতে আর যাই থাক সত্য কথা বলা হয়নি। ( টেবিলের উপর এক বান্ডিল কাগজ দেখিয়ে ) ওই তো রিপোর্ট তৈরি করেছেন কলকাতা যে ডুবিয়ে দিয়ে এসেছেন তার কি হবে।  ওর ভিতর একটি বর্ণ কি সত্য খুঁজে পাওয়া যাবে ? 

ডেক : (টেবেলে ঘুষি মেরে ) That's none of your business .

মার্টিন : of course it is .


কিলপ্যাট্রিক : তোমরাই বা এত সাধুত্ব এর দাবিদার হলে কিসে ?

ডেক : তোমাদের দুই জনের ব্যাংক balance বিশ হাজারের কম না কারুরই।  অথচ তোমরা কোম্পানির সত্তর টাকা বেতনের কর্মচারী। 

হ্যারি : ব্যাক্তিগত উপার্জনের ছাড়পত্র কোম্পানি সকলকেই দিয়েছে। সবাই উপার্জন করছে , আমরাও করছি। কিন্তু আমরা ঘুষ খাইনি। 

ডেক : আমি ও ঘুষ খাইনি। 

মার্টিন : অর্থাৎ ঘুষ খেয়ে ঘুষ কথাটির অর্থই বদলে গেছে আপনার কাছে।

ডেক :  তোমরা বেশি বাড়াবাড়ি করছো।  ভুলে যেওনা এখনো ফোর্ট উইলিয়াম এর কতৃত্ব আমার হাতে। 

হ্যারি : ফোর্ট উইলিয়াম ?

ডেক : ইংরেজদের অধিপত্ব অটো সহজেই মুছে যাবে নাকি ? এই জাহাজটাই এখন আমাদের কলকাতার দুর্গ।  আর দুর্গ শাসনের ক্ষমতা এখনো আমার হাতে। বিপদের সময় সবাই এক সঙ্গে কাজ করার জন্যই তোমাকে ডেকেছিলাম। কিন্তু দেখছি তোমরা এই মর্যাদার উপযুক্ত নও। 

মার্টিন : বড়ই করে কোনো লাভ হবেনা মিঃ ডেক।  আমরা আপনার কতৃত্ব মানব না। 


ডেক : এত বড় স্পর্ধা ? Withdraw what  you have said , মাফ চাও দ্বিতীয় কথা না বলে।  Nothing short of an unconditional apology will save you . মাফ চাও না হলে এই মুহূর্তে না হলে তোমাদের এখন কয়েদ করবার আদেশ দিয়ে দিবো। 
(জৈনক ইংরেজ মহিলা দড়ির উপর একটা ছেড়া গাউন মেলাতে আসছিলেন। তিনি হটাৎ ডেকের কোথায় রুখে উঠলেন। ছুটে গেলেন বচসারত পুরুষদের কাছে )

রমণী : তবুও যদি মেয়ে দের নৌকায় করে কলকাতা থেকে না পালাতেন তা হলেও না হয় এই দম্ভ সহ্য করা যেত। 

ডেক : We in the Council Session madam . এখানে মহিলাদের কোনো কাজ নেই। 

রমণী : Damn your Council . প্রাণ বাঁচবে কি করে তার ব্যবস্থা নেই , কতৃত্ব ফলাচ্ছে সব। 

ডেক : সেই ব্যবস্থাই  তো হচ্ছে। 

রমণী : ছাই হচ্ছে।  রোজ শুনি কিছু একটা হচ্ছে যা হচ্ছে তা তো নিজেদের ভেতরে জগড়া। এদিকে দিনের পর দিন এক বেলা খেয়ে আর কোনো দিন না খেয়ে।  অহোরাত্র দিনের পর দিন এক কাপড় পড়ে মানুষের মনুষত্ব ঘুচে যাবার জোগাড়। 


ডেক : But you see .

রমণী : I do not see alone , You can see also every night . এক প্রস্থ জামা কাপড় সম্বল। ছেলে বুড়ো সকলকেই তা খুলে রেখে রাতে ঘুমোতে হয়। কোনো আড়াল নেই , আব্রু।  Anybody can see that pitiable anatomic exhibition এর  চেয়ে বেশি আর কি দেখতে চান ? 
( হাতের ভিজা গাউনটা ডেকের মুখে ছুড়ে দিতে জাসছিলেন মহিলাটি , এমন সময় জৈনক গোরা সৈনিকের দ্রুত প্রবেশ )

সৈনিক : মিঃ হলওয়ে আর মিঃ ওয়াটস। 
(প্রায় সঙ্গে সঙ্গে হলওয়ে আর ওয়াটস ঢুকলো )

কিলপ্যাট্রিক : God gracious .


হলওয়ে : সকলের উদ্দেশে ) গুড Morning .( সকলের সাথে কর্মদান ) 
(ওয়াটস কোনো কথা না বলে সকলের সাথে কর্মদান করলো। মহিলাটি একটু ইতস্ত হয়ে একটু দূরে সরে গেলেন )

ডেক : বলো খবর কি।  হল ওয়ে উৎকণ্ঠায় নিঃশাস বন্ধ হয়ে এলো যে। 

হলওয়ে : মুর্শিদাবাদে ফায়ার নবাব আমাদের মুক্তি দিয়েছেন। অবশ্য নানা রকম ওয়াদা করতে হয়েছে। নাকে কানে খড় দিতে হয়েছে এই যা। 

ডেক : কলকাতায় ফেরা যাবে ?

হল ওয়ে : না। 

ওয়াটস : আপাতত নয় কিন্তু ধীরে ধীরে একটা ব্যাবস্থা হয়ে যাবে। 

কিলপ্যাট্রিক : কি রকম ব্যাবস্থা ?

ওয়াটস : অর্থৎ মেজাজ বুঝে যথা সময়ে কিছু উপঢোকন সহ হাজির হয়ে আবার একটা সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব হবে। 


ডেক : তার জন্য কতকাল অপেক্ষা করতে হবে কে জানে। 

হলওয়ে : একটা ব্যাপার স্পষ্ট বোজা যাচ্ছে নবাব ইংরেজদের ব্যবসা সমূলে নির্মূল করতে চান না , যদি তাই চাইতো তাহলে আপনারা এই সফলতায় নিশ্চিত থাকতে পারতেন না। 

ডেক : তা হলে নবাবের সাথে যোগাযোগের ব্যাবস্থাটা করে ফেলতে হয়। 

হল ওয়ে : কিছুটা করেই এসেছি। তা ছাড়া inevitable উমিচাঁদ নিজে থেকেই আমাদের সাহায্যের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। 

ডেক : Hurray !

ওয়াটস : মীরজাফর , জগৎশেঠ , রাজভল্লব এরাও আস্তে আস্তে নবাবের কানে কথাটা তুলবেন।  

ডেক : ( হ্যারি ও মার্টিনকে ) আসা করি তোমাদের মেজাজ এখন কিছুটা ঠান্ডা হয়েছে।You see mutual quarrel does not achieve anything . আমাদের মিলে মিশে  থাকতে হবে , এক যোগে কাজ করতে হবে। 

হ্যারি : আমরা তো জগড়া করতে চাইনে।  আমরা আমাদের ভবিষৎ জানতে চাই। 

মার্টিন : যেমনই হোক একটা নিশ্চিত ফলাফল দেখতে চাই। 
(উভয়ই প্রস্থান )
ডেক : ( উচ্চ কণ্ঠে ) Patience is the key word young man .

হলওয়ে : (পায়ে চাপড় মেরে ) উঃ কি মশা।  সিরাজ উদ দৌলাঃ mosquito brigade mobilise করে দিয়েছে নাকি ?

ডেক : যা বলেছো।  ম্যালেরিয়া আর dysentery তে ভুগে কয়েকজন এর ভেতরে কয়েকজন মারাও গেছে। 

ওয়াটস : বোরো ভয়নক জায়গায় আস্তানা গেড়েছেন আপনারা। 


ডেক : But it is important from military point of view .সমুদ্র কাছেই আর কলকাতা চল্লিশ মাইলের ভেতর। প্রয়োজন হলে যে কোনো দিক ধাওয়া করা যাবে। 

কিলপ্যাট্রিক : That's trueকলকাতায় ফেরার আসায় বসে থাকলে এই জায়গাটা নিরাপদ। নদীর দু পাশে ঘন জঙ্গল। সে দিক দিয়ে বিপদের কোনো আসা নাই। বিপদ যদি আসে তাইলে আসবে কলকাতার দিক দিয়ে গঙ্গার স্রোতে ভেসে। কাজই সতর্ক হওয়ার যথেষ্ট সময় পাওয়া যাবে। 

হলওয়ে : কলকাতার দিক থেকে আপাতত কোনো বিপদ আসার সম্ভাবনা নাই। উমিচাঁদ কলকাতার দেওয়ান মানিকচাঁদকে হাত করেছে। তার অনুমতি পেলে আমরা এখানে জঙ্গল কেটে হাট বাজার বসিয়ে দেব। 
ডেক : Of course নেটিভরা আমাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে চায় , কিন্তু ফোজদারের ভয়ে তো পারছেনা। 
(প্রহরীর প্রবেশ সে ডেকের হাতে এক টুকরো কাগজ দিলো সে কাগজ পরে ডেক চেচিয়ে উঠলো )
This must have brought fortune .
(প্রহরীকে ) Bring him here , (প্রহরীর প্রস্থান ) উমিচাঁদের লোক। 

সকলে : What এত তাড়াতাড়ি। 
(চর সহ প্রহরীর প্রবেশ। অভিবাদন্তে ডেকের হাতে পত্র দিলো আগুন্তুক। ডেক ইঙ্গিত করতেই তারা আবার বেড়িয়ে গেলো )
ডেক : মাঝে মাঝে উঁচু স্বরে পত্র পড়তে লাগলো ) আমি চিরকালই ইংরেজদের বন্ধু থাকবো। মৃত্যু পর্যন্ত আমি এই বন্ধুত্ব বজিয়ে রাখবো। মানিকচাঁদকে অনেক কষ্টে বোজানো হইয়াছে। সে কলকাতায় ইংরেজদের ব্যবসা করার অনুমতি দিয়েছে। এর জন্য তাহাকে বারো হাজার টাকা নগদ দিতে হয়েছে টাকাটা নিজ তহবিল থেকে দিয়া দেওয়ানের স্বাক্ষরিত হুকুমনামা হাতে হাতে সংগ্রহ করিয়া পত্রবাহক মারুফত পাঠাইলাম। এই টাকা এবং আমার পারিশ্রমিক ও অন্যান ব্যায় বাবদ যাহা ন্যায্য বিবেচিত হয় তাহা পত্র বাহকের হাতে পাঠাইলে আমি চির কৃতজ্ঞ থাকিব। বলা বাহুল্য , পারিশ্রমিক বাবদ আমি পাঁচ হাজার টাকা পাইবার আসা করি। অবশ্য ডেক সাহেবের  বিবেচনায় তাহা গ্রাহ্য না হইলে দুই চারি শত টাকা কম লইতেও আমার আপত্তি নাই , কোম্পানি আমার উপরে ষোলো আনা বিশ্বাস রাখিতে পারে। সুদূর লাহোর হইতে আমি বাংলাদেশে আসিয়াছি টাকা উপার্জনের জন্য যেমন আপনারা আসিয়াছেন। এ দেশের জন্য দরদ ততখানি যতখানি আপনাদের। কাজেই উদ্যাশের দিকদিয়ে আমি আপনাদের সমগোত্রীয়। (চিঠি ভাঁজ করতে করতে ) A prefect scoundrel is this Omichad .

হলওয়ে : কিন্তু উমিচাঁদের সাহায্য তো হাতছাড়া করা যাচ্ছে না। 

ওয়াটস : Even when it is too costly .

ডেক : সেই তো মুশকিল। ওর লোভের অন্ত নাই মানিকচাঁদের হুকুমনামার জন্য সতেরো হাজার টাকা দাবি করেছে। আমি হলপ করে বলতে পারি দু হাজারের বেশি মানিকচাঁদের পকেটে যাবে না। বাকি তা যাবে উমিচাঁদের তহবিলে। 

হলওয়ে : কিন্তু কিছু করবার নাই। উপযুক্ত অবস্থার সুযোগ পেয়ে সে ছাড়বে কোনো ? 

ডেক : দেখি টাকাটা দিয়ে ওর লোকটাকে বিদায় করি। 
(বেরিয়ে গেলো )
ওয়াটস : শুধু উমিচাঁদের দোষ দিয়ে কি লাভ ? টাকা কথা বলাচ্ছে না কাকে ? মীরজাফর , জগৎশেঠ , রাজবল্লব , মানিকচাঁদ কে হাত পেতে নেই? 

কিলপ্যাট্রিক : দশদিকের দশটি খালি হাত ভর্তি করতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে ইংরেজ , ডাচ ও ফরাসিরা। 

হলওয়ে : কিছু না , কিছু না।  হাজার হাতে হাজার হাজার হাত হাত থেকে নিয়ে দশ হাত বোঝাই করতে আর কত টুকু সময় লাগে ? বিপদ সেখানে নয়। বিপদ হলো বখরা নিয়ে মনান্তর ঘটলে। 
(ডেকের প্রবেশ )

ডেক : (উমিচাঁদের চিঠি বার করে ) আর একটা জরুরি খবর আছে উমিচাঁদের চিঠিতে। শওকত জং এর সাথে সিরাজ উদ দৌলাঃ লেগে গেল বলে।  এই সুযোগ নেবে মীরজাফর , রাজবল্লভ , জগৎশেঠের দল। তারা শওকত জঙ্গকে সমর্থন করবে। 

ওয়াটস : খুব স্বাভাবিক। শওকত জঙ্গ নবাব হলে সকলের উদ্দেশ হাসিল হবে। ভালো খেয়ে নাচওয়ালীদের নিয়ে সারাক্ষন সে পড়ে থাকবে আর উজির ফোজদাররা যার যা খুশি তাই করতে পারবে। 
ডেক : আগেভাগেই তার কাছে আমাদের ভেট পাঠানো উচিত বলে আমার মনে হয়। 

কিলপ্যাট্রিক : I second you .

ওয়াটস : তা পাঠান। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে গেলো যে। এখানে একটা বাতি দেবে না ? 

ডেক : Orderly বাত্তি লে আহও। 

 হলওয়ে : নবাবের কয়েদ খানায় থেকে এ দু দিনে একেবারে শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছি আপনাদের অবস্থা  ততটা খারাপ ?

ডেক : Not so bad i hope .
(Orderly একটা হারিকেন রাখলো )
ডেক : পেগ লাগাও। 
(দূর থেকে কণ্ঠস্বর )

নেপথ্যে : জাহাজ - জাহাজ আসছে। 
(চারজন সমস্বরে : কোথায় ? from which side ?

নেপথ্যে : সমুদ্রের দিক থেকে জাহাজ আসছে।  দুখানা , তিনখানা , চারখানা , পাঁচখানা। পাঁচখানা কোম্পানির জাহাজ আসছে। 
(অর্ডারলী বোতল আর গ্লাস টেবিলের উপর রাখলো )

ডেক : কোম্পানির জাহাজ ? Must be from Madras , Let us celebrate , Hip Hip 

সমস্বরে : Hurray 



সিরাজ উদ দৌলা - ফোর্ট উইলিয়াম জাহাজ । পর্ব ০১ | অধ্যায়ঃ ০৩

You have to wait 60 seconds.


                                

















Post a Comment