বাংলা সালতানাত:নাসির উদ-দীন মাহমুদ শাহ (১৪৩৫-৩৬-১৪৫৯-৬০ সাল )



ইলিয়াস শাহী রাজবংশ : সুলতান নাসির-উদ-দীন মাহমুদ শাহ










১৪৭৩ হইতে ১৪৮০ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত ৩ বৎসর ধরিয়া মালাধর বসু 'শ্রীকৃষ্ণ-বিজয় 'রচনা করিলেন। এই দীর্ঘ কাব্য রচনায় মুগ্ধ হইয়া গৌড়েশ্বর তাহাকে 'গুণরাজ খান' উপাধিতে বিভূষিত করলেন।বাংলা-ভাষা সাহিত্যকে নূতন করিয়া মর্যাদা দান করিবার কীর্তি ইলিয়াস শাহী বংশের সামসুদ্দীন ইউসুফ শাহেরই প্রাপ্য (১৪৭৪-১৪৮১) এই ইউসুফ শাহের অনুগ্রহে সিক্ত হইয়া মুসলমান কবি জৈনুদ্দীন 'রসূল-বিজয়' কাব্য রচনা করিয়াছিলেন। 







সুলতান শামস-উদ-দীন আহমদ শাহর মৃত্যুর মাধ্যমে গণেশ-বংশের পতন সম্পন্ন হয় এবং আবার বাংলার মসনদে আরোহন করেন ইলিয়াস শাহী খান্দানেরই এক সন্তান যার পরিচয় ' তাবকাত- ই - আকবরী' তে দেওয়া হয়েছে ইলিয়াস শাহর ' আহফাদ ' বলে, বঙ্গানুবাদে যার অর্থ  হয় 'বন্ধু-বান্ধব' সঙ্গী পরিবার, পৌত্র প্রপৌত্র ,জামাতা, আত্মীয় ইত্যাদি তারিখ-ই- ফিরিশতায় শব্দটি 'আওলাদ ' বা বংশধর ,পুত্র ,পৌত্র ,প্রপৌত্র ইত্যাদি;  রিয়াজ শব্দটি 'আজ নবায়ের 'বা পৌত্রদের মাঝে একজন।







 সুতরাং রিয়াজ ছাড়া অন্য কোনো গ্রন্থে বলা হয় নাই যে, নাসির উদ-দীন  মাহমুদ শাহ শামস-উদ-দীন মাহমুদ শাহ এর পৌত্র ছিলেন। ফিরিশতা পরিষ্কারভাবে বলিয়াছেন যে ,তিনি ইলিয়াস শাহের বংশধর ছিলেন এবং নিজাম-উদ-দীন এর সাক্ষ্যও মোটামুটি একই। এই হিসাবে মাহমুদ শাহ ইলিয়াস শাহের উত্তর-পুরুষ ছিলেন,হয়তো প্রপৌত্রও হতে পারেন। তিনি ইলিয়াস শাহের বংশধর হওয়া বা প্রপৌত্র হওয়া অসম্ভবও নয়,অস্বাভাবিকও নয়।





 পরবর্তী লেখক গোলাম হোসেন এবং বুকাননের সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করিয়া পূর্ববর্তী লেখক ফিরিশতা এবং নিজাম-উদ-দীন এর সাক্ষ্যকে সন্দেহ করা যুক্তিসঙ্গত নয়।





 মাহমুদ শাহের প্রতিষ্ঠিত বংশকে পরবর্তী ইলিয়াস শাহী বংশ বলাও অসঙ্গত নয়,অবশ্য তাহার নিজের  নাম অনুসারে এই বংশকে মাহমুদ শাহী বংশও বলা যেতে পারে। আগে ঐতিহাসিকরা সিদ্ধান্ত করেছিলেন যে ,নাসির-উদ-দীন  মাহমুদ শাহ ৮৩৭ হি. (১৪৩৩-৩৪ খ্রিস্টাব্দে ) বাংলার মসনদে আরোহন করেন।






 কিন্তু পরে ডাক্তার করিম ইব্ন হজরের সাক্ষ্য বিবেচনায় এনে বলেন ,আমরা মনে করি যে,,৮৩৯ হিজরায় (১৪৩৫-৩৬ খ্রিস্টাব্দে )নাসির -উদ-দীন মাহমুদ শাহ সিংহাসনে আরোহন করেন। 








বাংলার রাজশক্তির অধিকার নিয়ে দুই যুগ ধরে যা ঘটেছিল তাকে পুরোপুরি নাটকীয় বলা চলে। বাংলায় প্রায় দু'শ বছরের মুসলিম রাষ্ট্রশক্তির অবসানের লক্ষে ইলিয়াস শাহী বংশের তৃতীয় সুলতান গিয়াস-উদ-দীন আজম শাহর অন্যতম প্রধান অমাত্য রাজা গণেশ যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন, সুলতান-গিয়াস-উদ-দীন আজম শাহ নিজেই তার প্রথম শিকার হন। যখনই তিনি রাজ্যের হিন্দু প্রাধান্যের ব্যাপারে সচেতন হলেন ,তখনই রাজা গণেশের চক্রান্তে তিনি নিহত হন। 





মসনদে বসেন তার পুত্র সাইফ-উদ-দীন হামজা শাহ। কিন্তু দুবছর যেতে না যেতেই রাজা গণেশেরই চক্রান্তে তিনি নিহত হন স্বীয় ক্রীতদাস শিহাব-উদ-দীনের হাতে।




এবার মসনদে আরোহন করেন রাজা গণেশেরই শিখণ্ডী-ঘাতক শিহাব-উদ-দীন,অভিহিত হন সুলতান সিহাব -উদ-দীন বায়েজীদ শাহ বলে। তিন বছরের মতো রাজত্ব করার পর এই সুলতানও নিহত হন।




 এমনকি নিহত হন বায়েজীদ-পুত্র আলা-উদ-দীন ফিরোজ শাহও। এতগুলি হত্যার পর রাজা গণেশ অবশেষে আরোহন করেন বাংলার মসনদে।  






আপাতদৃষ্টিতে রাজা গণেশের সামনে বাংলায় নিজ বংশের রাজত্ব তথা হিন্দু রাজত্বের দিনগুলি হয়ে উঠেছিল মেঘমুক্ত। এর মধ্যে অপ্রত্যাশিতভাবে রাজা গনেশের সাফল্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন এক বৃদ্ধ সুফী-সাধক শেখ নূর কুতব-ই-আলম। 





তার অনুরোধে বাংলা অভিযানে এগিয়ে এলেন জৌনপুরের সুলতান ইব্রাহিম।শর্কী ফলে পিছনে হটলেন রাজা গণেশ এবং ধর্মান্তরণের মাধ্যমে বাংলার মসনদে বসলেন গণেশ-পুত্র যদু সেন। ইব্রাহিম শর্কী ফিরে গেলেন। রাষ্ট্রীয় রঙ্গমঞ্চে আবার এসে দাঁড়ালেন গণেশ। ধর্মন্তরিত পুত্র শুদ্ধির মাধ্যমে আবার হিন্দু হলেন,বন্দি হলেন এবং সিংহাসনে বসলেন রাজা গণেশ।





 কিন্তু বছর ফুরিয়ে যেতেই বন্দীশালা থেকে মুক্ত যদু সেন হত্যা করলেন রাজা গণেশকে ; সিংহাসনে বসলেন কনিষ্ঠ গণেশ- পুত্র মহেন্দ্রদেব। মাত্র এক মাস কি দুই মাস। মহেন্দ্রদেবকে সরিয়ে যদু সেন আবার ইসলামে দীক্ষিত হয়ে মসনদে আরোহন করলেন,অভিহিত হলেন জালাল-উদ-দীন মুহম্মদ শাহ বলে।





 ২৪ বছর রাজত্বের পর তার মৃত্যু হলো। এবার সুলতান হলেন তদীয় বালক পুত্র শামস -উদ-দিন আহমদ শাহ। বছর তিনেক রাজত্বের পর তিনিও নিহত হলেন ক্রীতদাসের হাতে।এইসব ঘটনার ব্যাপ্তিকাল দুই যুগেরও কিছু বেশি। এই ব্যাপ্তিকালের দুই প্রান্তে দুটি পক্ষ। প্রথম প্রান্তে রাজা গণেশের পক্ষ,দ্বিতীয় প্রান্তে অপ্রত্যাশিতভাবেই ইলিয়াস শাহী বংশীয় পক্ষ। 




গণেশ-পৌত্র সুলতান আহমদ শাহকে হত্যা করেছিল তদীয় ক্রীতদাসদ্বয় সাদী খান ও নাসির। সাদী খান মসনদ দখল করতে চাইলে নাসির খান তাকে হত্যা করে এবং কয়েকদিনের মধ্যে দরবারের অমাত্যরা নাসির খানকে সরিয়ে (নিশ্চয়ই হত্যার মাধ্যমে )বাংলার মসনদে বসান মাহমুদ শাহ কে। ঐতিহাসিকরা মনে করেন আহমদ শাহকে হত্যার পিছনে ছিলেন ইলিয়াস শাহী খান্দানের সমর্থক আমীরগন। 










ঐতিহাসিক ফিরিশতার ভাষ্য অনুসারে,সুলতান সাইফ-উদ-দীন হামজা শাহর হত্যার মাধ্যমে ইলিয়াস শাহী খান্দানের রাজ্য হারানোর সময় প্রকৃত প্রস্তাবে ইলিয়াস শাহী খান্দানের নিধনের সময়,ইলিয়াস শাহী খান্দানের জীবিতরা তাদের সমর্থকবৃন্দ সহ রাজধানী থেকে পালিয়েছিলেন। 




প্রাণভয়ে পলাতক এসব মুসলমানের মধ্যে ইলিয়াস শাহী খান্দানের সন্তানও ছিলেন।ফিরিশতার মতে ,ইলিয়াস শাহী খান্দানের জনৈক নাসির শাহ রাজধানী থেকে পালিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যান এবং কৃষিকার্যে লিপ্ত হন।





 ধারণা করা যায়,কৃষকের ছদ্মবেশে এই শাহজাদা নিজ পরিবার-পরিজনসহ হয়তো দক্ষিণ বঙ্গের কোথাও দিনাতিপাত করেছিলেন।সঙ্গে সঙ্গে এ-ও ধারণা করা যায় যে,ইলিয়াস শাহী খান্দানের সমর্থক কোনো কোনো আমীর শুধু জানতেন তার খবর। 




উপযুক্ত সময়ে অর্থাৎ গণেশ বংশের নিধন প্রাপ্তির পর এই 'নাসির শাহ' কেই  ইলিয়াস শাহী বংশের সমর্থক আমিরগন রাজধানীতে নিয়ে এসে মসনদে বসান। অভিহিত হন সুলতান নাসির-উদ-দীন মাহমুদ শাহ বলে।





"রাজা গণেশ ,জালালু-উদ-দীন মুহম্মদ শাহ ও শামস-উদ-দীন আহমদ শাহ এর রাজত্বকালে ইলিয়াস শাহী বংশের লোকেরা ও তাদের সমর্থকেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে এদিক সেদিক ছড়িয়ে পড়েছিলেন,নাসিরুদ্দিন রাজা হলে তারা আবার একত্রে সমবেত হন।


আরো পড়ুন :







 ফিরিশতা আরও লিখেছেন যে,নাসিরুদ্দিন এর রাজত্বকালে জৌনপুর,দিল্লি ও বাংলার সুলতানদের মধ্যে রেষারেষি দূর হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। রিয়াজ-এ নাসিরুদ্দীন সম্বন্ধে এই কয়েকটি কথা লিপিবদ্ধ হয়েছে,'নাসির শাহ সমস্ত  কাজ ন্যায়পরায়ণতা এবং উদারতার সঙ্গে কাজ করতেন।





যার ফলে বৃদ্ধ-যুবা নির্বিশেষে সমস্ত লোকে তৃপ্ত হলো এবং আহমদ শাহ এর অত্যাচারজনিত ক্ষত শুকিয়ে গেলো। এই মহান রাজা গৌড়ের দুর্গ ও প্রাসাদগুলি নির্মাণ করেন।এই কথাগুলি যে মোটামুটি ভাবে সত্য,তাতে কোন সন্দেহ। নেই কারণ সুশাসক না হলে নাসীরুদ্দিনের পক্ষে সুদীর্ঘ ২৪/২৫ বছর অপ্রতিহতভাবে রাজত্ব করা সম্ভব হত বলে মনে হয় না। 





গৌড়ের বিখ্যাত 'সেনানী দরওয়াজা' বা 'কোৎওয়ালী দরওয়াজা'র নির্মাতা ছিলেন সুলতান নাসির-উদ-দীন মাহমুদ শাহ। মাহমুদ শাহর রাজত্বকালে বাংলার মুসলিম রাজ্যটি পশ্চিম বিহারের ভাগলপুর,দক্ষিণে হুগলি জেলা এবং পূর্বে ময়মনসিংহ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।




 তার রাজত্বকালেই বাগেরহাটের সেই স্বনামধন্য সাধক -সেনাপতি প্রশাসক-খান জাহান আলী দক্ষিণ বঙ্গ জয় করেন এবং খেলাফত মডেলের শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেন।খান জাহানের সমাধি ,মসজিদ ও দীঘি এখনও বর্তমান। 





তার নির্মিত ষাট গম্বুজ মসজিদ বাংলার স্থাপত্য শিল্পের একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন।খুলনা জেলার বাগেরহাটে(বর্তমানে জেলা)খান জাহান আলীর সমাধি অবস্থিত।  





সমাধি গাত্রে উৎকীর্ণ শিলালিপিতে বলা হয়েছে:''আল্লাহর এক নগন্য বান্দা ,বিশ্ব প্রভুর অনুগ্রহ-প্রত্যাশী রাসূলে করিম (সাঃ)-এর বংশধরদের অনুরক্ত, সৎপথগামী আলেমগণের বন্ধু ,বিধর্মী মুশরিকদের দুশমন,ইসলাম ও মুসলমানের সাহায্যকারী উলুগ খান-ই-জাহান(তার প্রতি আল্লাহর করুণা ও  ক্ষমা বর্ষিত হোক )  হিজরী ৮৬৩ সালের ২৬ শে জিলহজ বুধবার রাত্রে এ নশ্বর দুনিয়া ছেড়ে জান্নাতগামী হন এবং উক্ত মাসের ২৭ তারিখ বৃহস্পতিবার তিনি সমাহিত হন।






'' তার ধর্মপ্রাণতা,সততা ,জনসেবা ও চরিত্র মাধুর্য এ অঞ্চলের মানুষের উপর এতো প্রভাব বিস্তার করে যে,তারা তাকে আল্লাহর একজন যথার্থ অনুগত বান্দা এবং সুফী-দরবেশ রূপে শ্রদ্ধা করতে থাকে। হতে পারে না যে ইলিয়াস শাহী খান্দানের বিপদের দিনে 'লোকচক্ষুর অন্তরালে 'কৃষকের ছদ্মবেশ ধরে জীবনধারণকারী 'নাসির শাহ 'প্রধানত এই খান জাহান আলীর সাহায্যে দক্ষিণ বঙ্গের কোথাও বসবাস করেছিলেন।




 এবং রাজধানী থেকে পালিয়ে যাওয়া ইলিয়াস শাহী খান্দানের সমর্থকদের মধ্যে খান জাহান আলীও ছিলেন অন্যতম। আরও গবেষণার ফলে এ ব্যাপারে হয়তো আরও কিছু জানা যেতে পারে।






পররাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ঘটনা থেকে সুলতান নাসির-উদ-দীন মাহমুদ শাহ এর আত্মসম্মান বোধের পরিচয় পাওয়া যায়। খৃস্টীয় পনের শতকের প্রথম দিকেই বাংলার সুলতান গিয়াস-উদ-দীন আজম শাহ চীনের সঙ্গে বাংলার যে কূটনৈতিক সংযোগ স্থাপন করেছিল এবং তার পরবর্তী সুলতানরাও তা রক্ষা করে আসছিলেন ,সুলতান নাসির-উদ-দীন মাহমুদ শাহের সময়ে তা ছিন্ন হয়ে যায়।




 এজন্য অবশ্য চীনা কর্তৃপক্ষই দায়ী। প্রাচীন কাল থেকেই চীনে এই ধারণা প্রচলিত ছিল যে,চীন সম্রাটই হচ্ছেন সমগ্র পৃথিবীর একচ্ছত্র অধিপতি এবং পৃথিবীর অন্য সব রাজনরা চীন সম্রাটের সামন্ত মাত্র। বাংলা সুলতানের দূত ও উপহার পাঠানোকে চীন বাংলার আনুগত্যের নিদর্শনস্বরূপ  'ভেট পাঠানো 'বলে গ্রহণ করত।





 বাংলা সুলতানকে পাঠানো চীন সম্রাটের চিঠিপত্রকে চীনা গ্রন্থগুলিতে 'সার্বভৌম অধিরাজের আদেশলিপি ' বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং গিয়াস-উদ-দীন আজম শাহ এর মৃত্যুর পর সাইফ-দি-দীন হামজা শাহ এর মসনদে আরোহনের উল্লেখ করবার সময়ে বলা হয়েছে যে,চীন সম্রাট সাইফ-উদ-দীন কে "বাংলার রাজারূপে নিযুক্ত "করেছেন। 





চীনা  বিবরণ থেকেই জানা যায় যে,সুলতান নাসির-উদ-দীন মাহমুদ শাহ ১৪৩৮ ও ১৪৩৯ সালে চীন সম্রাটের কাছে উপহারসহ রাজদূত পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তার সমসাময়িক চীন সম্রাট চেন থুঙ এ বিষয়ে তার পূর্ববর্তী সম্রাটদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেননি। 




সুলতান মাহমুদ শাহ পরপর দুবার উপহার পাঠালেও চীন সম্রাট চেন থুঙ বাংলার সুলতানকে কোনো উপহার পাঠাননি। বলা বাহুল্য,এ অবস্থায় বাংলা থেকে একতরফা উপহার প্রেরণ মোটেই সম্মানজনক ছিল না। সুলতান নাসির-উদ-দীন মাহমুদ শাহ তাই আর রাজদূত কিংবা উপহার পাঠানো বন্ধ করে দেন ,ছিন্ন হয়ে যায় বাংলা ও চীনের সখ্যতা-সংযোগ।  



আরো  পড়ুন :







 

Post a Comment