ওমিক্রনের কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি 

                                Treatment of Omicron 


করোনা দিন দিন বেপক পরিমানে বেরেই চলেছে। করোনা এটি এবার ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট। তবে সবাই যে অমিক্রন দিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে  তা কিন্তু নয়, কেও কেও ডেল্টাভেরিয়েনটি দিয়েও আক্রান্ত হচ্চে। তবে বলা যায় না আমাদের দেশে অন্য অন্য ভেরিয়েন্ট দিয়েও আক্রান্ত হচ্চে। আপনি যে ভেরিয়েন্ট দিয়েই আক্রান্ত হননা কেন করোনা বা ওমিক্রন এর চিকিৎসা কিন্তু একি। 

 আজকে এই করোনা বা ওমিক্রন এর ঘড়োয়া চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করবো। 


কোরোনার চিকিৎসা মূলত দুই ধরণের :       

১. উপসর্গ ভিত্তিক চিকিৎসা  
২. করোনা ভাইরাসের নির্দিষ্ট চিকিৎসা 


প্রথমে আমরা উপসর্গ ভিত্তিক চিকিৎসা কি সেটা জেনে নেই , মানুষ যখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তখন তার শরীরে অনেক গুলো সম্যসা দেখা দেয় যেমন- জ্বর, ঠান্ডা,কাশি,বমি এই লক্ষণ গুলো দেখা দিলে যে ওষুধ সেবন করতে হবে।
 
১. প্যারাসিটামল 
,২. এন্টি হিস্টাসিন 
৩. ওর স্যালাইন 

যার যেমন উপসর্গ দেখা দিবে তিনি সেই উপসর্গের উপর ভিত্তি করে ঔষধ সেবন করবেন। এটি হলো উপসর্গ ভিত্তিক চিকিৎসা আর এই উপসর্গ ভিত্তিক চিকিৎসার মাদ্ধমে অধিকাংশ রুগী দেড় সম্পূর্ণ সুস্থ করে উঠানো যায়। 


দ্বিতীয় হলো করোনা ভাইরাসের নির্দিষ্ট চিকিৎসা। করোনা বা ওমিক্রন হলো ভাইরাস জনিত রোগ। এর বিরুদ্ধে কাজ করবে এন্টিভাইরাল। বর্তমানে দুই একটি ভাইরাল আচে যেগুলো করোনা বা অমিক্রনের বিরুদ্ধে কাজ করবে। আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে, আপনার চিকিৎসক আপনার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে দেখবেন যে আপনার এন্টি-ভাইরাল দরকার আছে কিনা। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে এন্টি-ভাইরাল দিয়ে আপনার চিকিৎসা করবেন। তবে এই এন্টি-ভাইরাল যত তাড়াতাড়ি শুরু করা যায় রুগী ততো তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে। 

আপনার শরীরে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে তার সাথে সাথে যদি এন্টি-ভাইরাল শুরু করা যায় তাহলে এই ভাইরাস থেকে আপনি অনেক সুফল পাবেন। আর যদি আপনি বেশ কিছু দিন পরে এন্টি-ভাইরাল শুরু করেন তাহলে এর সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা কম। 


আপনার যদি কখনো এর লক্ষণ দেখা দেয় বা আপনার মনে হয় এটি COVID হতে পারে, তাহলে আপনার উচিত সাথে সাথে পরীক্ষা করা। পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে এন্টি-ভাইরাল শুরু করে দিয়া। 

কোরোনার আরেক ধরেন চিকিৎসা আছে, সেটা হলো COVID থেকে যে জটিলতা তৈরি হয় সেই জটিলতার চিকিৎসা। যদি কারো অক্সিজেন কমে যায় তাহলে একধরেন টেবলেট বা ইংজেকশন (Dexamethasone) আপনার চিকিৎসক সেই ডোস নির্ধারণ করে দিবেন। আপনার জন্য কতটুক প্রয়োজন বা কিভাবে খাবেন এবং আপনাকে অক্সিজেন দিতে হবে। 


কোরোনার আরেকটি বড়ধরণের সমস্যা হয় রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া। এটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝা যায় যে রক্ত জমাট বাধার প্রবণতা আপনার ভেতরে আছে কি না ? যদি সেরকম মনে হয় তাইলে আপনার চিকিৎসক আপনাকে রক্ত জমাট বাধা বিরোধী ঔষধ আছে (Anticoagulant) সেটা নিয়ার পরামর্শ দিবেন এবং এই ঔষধটি ইংজেকশন হিসেবেও পাওয়া যায় টেবলেটও পাওয়া যায়। 








এছাড়া COVID থেকে আরো কিছু জটিলতা হতে পারে। দেখা গেছে যে যাদের বয়স কম এবং অন্যান্য রোগ বেধি তেমন একটা নেই, তাদের COVID থেকে খুব একটা সমস্যা তৈরি হয় না। কিন্তু যাদের বয়স বেশি ডায়বেটিস, কিডনি সমস্যা, হার্টএ সমস্যা আছে স্টক হয়েছে বা এজমার সমস্যা আছে। আবার যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের যদি করোনা হয় (CBR DISEASE) রোগ হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। তাই যাদের এই ধরণের সমস্যা আছে এবং বয়স বেশি তারা দ্রুত করোনা পরীক্ষা করবেন সাথে রক্ত পরীক্ষা করবেন এবং একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থেকে চিকিৎসা চালিয়ে যাবেন এবং তিনি যদি  মনে করেন আপনার হসপিটালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন তাহলে আপনি হসপিটালে থেকে চিকিৎসা চালাবেন। যদি আপনি সম্পূর্ণ নিরাপত্তায় থাকেন এবং আপনার রোগের লক্ষণ পাল্টে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করবেন। আপনি যদি সম্পূর্ণ সতর্কতার সাথে থাকেন এবং চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে সঠিক নিয়ন অনুসরণ করেন এবং ঔষধ সেবন করেন তাহলে আপনি সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরতে পারবেন। পুনরায় যাতে COVID আপনার শরীরে বিকাশ না ঘটাতে পারে তাই প্রতিনিয়ত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করবেন। 

আবার, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিনিয়ত ঘুমাতে হবে, সময় মতো খাবার খেতে হবে, ব্যায়াম করতে হবে। এসব কিছু মেনে চললে আপনি আবার আগের মতো সুস্থ সবল হয়ে উঠতে পারবেন। 


এখন থেকে প্রায় দেড় বছর আগে করোনা ভাইরাস শুরু হয়েছিল। তখন এই ভাইরাসের চিকিৎসার বেপারে এতটা ধারণা ছিল না। 



আলোচনা করেছেন:
ডাঃ গোলাম মোর্শেদ

এমবিবিএস, এফসিপিএস (কার্ডিওলজী), এমআরসিপি (লন্ডন)
সহকারী অধ্যাপক, কার্ডিওলজী
মেডিসিন, ডায়াবেটিস ও হার্ট স্পেশালিস্ট

চেম্বার: গ্রীন লাইফ হসপিটাল (রুমঃ৩০০২)
৩২ গ্রীন রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা।
এপয়ন্টমেন্ট: ০১৭১৭৭৫৭৫৯৩

You have to wait 60 seconds.


























 


























 

Post a Comment